সরকারের নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। চলতি মৌসুমে ভাটার জন্য ইট পোড়াতে দিনদিন কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ। জ্বালানি হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে মূল্যবান বনজসম্পদ। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে এসব ইটভাটা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। এর ফলে সারাবছরই বিভিন্নভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের।
উপজেলার ইটভাটাগুলোতে পরিবেশবান্ধব চিমনি থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এতে করে দূষণ হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, কমে যাচ্ছে আবাদি জমি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৩টি বৈধ ও ৭টি অবৈধসহ মোট ২০টি ইটভাটায় বর্তমানে ইট পোড়ানোর কাজ চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ৫৯টি পরিবার থাকলে সেখানে কোন ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এ উপজেলায় স্থাপিত ইটভাটা আছে তার অধিকাংশই আবাদি জমি এবং জনবসতির পাশেই।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, আমরা অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত কয়েকদিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন জানান, আমাদের দেশে আইন মেনে কেউ ইটভাটা করছে না। যার ফলে পরিবেশ ব্যাপকহারে দূষণ হওয়ার পাশাপাশি আবাদি জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান জানান, ইটভাটার কারণে আবাদি জমি ও পরিবেশ নষ্ট হয় তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
টিএইচ